লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে জামায়াত কর্মী ও শিক্ষক আলমগীর বাঘের বিরুদ্ধে জমি দখল, চাঁদা দাবি ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার সংবাদ সম্মেলন করে বিচার দাবি করেছে।
শনিবার (১৫ মার্চ) রাতে রায়পুর শহরের একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্টে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন ভুক্তভোগী জসিম আখন।
এর আগে এ ঘটনায় রায়পুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযুক্ত আলমগীর বাঘ উপজেলার ২নং উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বাঘ বাড়ির হাসিম বাঘের ছেলে। তিনি একজন আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ও জামায়াতের সক্রিয় কর্মী। ভুক্তভোগী জসিম আখন একই ওয়ার্ডের আখন বাড়ির মৃত জলিল আখনের ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে জসিম আখন জানান, দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে তারা যে জমিতে বসবাস করছেন, সেই জমির ভুয়া কাগজ তৈরি করে সরকার পরিবর্তনের পর থেকে আলমগীর বাঘ ৬ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছেন।
তিনি আরো বলেন, আমি এ বিষয়ে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ করেছিলাম। এর জের ধরে শনিবার সন্ধ্যায় আলমগীর বাঘের নেতৃত্বে জাহাঙ্গীর বাঘ ও শরীফ হোসেন বাঘসহ কয়েকজন আমাকে মারধর করে হত্যার চেষ্টা চালায়। এ সময় তারা আমার কাছে থাকা ১৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। বর্তমানে আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
অন্যদিকে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে আলমগীর বাঘকে বলতে শোনা যায়, দিন এখনো যায় নাই, মাত্র শুরু। থানায় অভিযোগ দিয়ে আমার কিছুই করতে পারবে না। যে অভিযোগ করেছে, তাকে আগে ধরব।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আলমগীর বাঘ দাবি করেন, জসিম আখন উলটো আমাদের জমি দখল করে রেখেছে। এ নিয়ে একাধিক মামলা রয়েছে, কিন্তু সে মীমাংসায় রাজি নয়। চাঁদা দাবি ও মারধরের অভিযোগ সত্য নয়। আমি জামায়াতের প্রভাব খাটানোর কোনো চেষ্টা করিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওর বক্তব্যও ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
উপজেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি আবুল কাশেম বলেন, আলমগীর মাস্টার জামায়াতের কর্মী হলেও জমি দখল ও চাঁদা দাবির অভিযোগ সঠিক নয়। বরং জসিম আখন উলটো আলমগীরের জমি দখল করে আছে।
রায়পুর থানার (ওসি তদন্ত) শাহিদুল ইসলাম জানান, জমি নিয়ে মারধরের একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কেকে/এএম