ঢাকা, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২৩ ভাদ্র ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল

‘বিরোধীদের নির্বিচারে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
🕐 ৭:৪৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৫, ২০২৪

‘বিরোধীদের নির্বিচারে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে’

 

চাকরির ক্ষেত্রে বৈষম্য বিরোধী কোটা সংস্কারের দাবিতে দেশের আপামর শিক্ষার্থীদের যুক্তিসঙ্গত আন্দোলনকে ঘিরে দেশব্যাপী বিএনপিসহ বিরোধী দল ও মতের মানুষদেরকে নির্বিচারে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে এক গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য তারিকুল ইসলাম তেনজিং এবং বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলুর ছেলে (যিনি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন) সানিয়াতকে গ্রেপ্তার করেছে এবং বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থকে গতরাত ১টায় বাসা থেকে তুলে নিয়ে গেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন যাবত বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর নেতাকর্মীদের অব্যাহত গতিতে গ্রেপ্তারের অমানবিক ঘটনায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসকে আড়াল করতে এবং উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর অপকৌশল হিসেবে বিএনপির নির্দোষ নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার কিংবা নেতাকর্মীদেরকে বাসায় না পেয়ে তাদের সন্তান কিংবা বাসার সদস্যদের গ্রেপ্তার ও অশালীন আচরণসহ বাড়ির আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হচ্ছে। আন্দোলনে ভূমিকা রাখার মিথ্যা অভিযোগে ঢালাওভাবে বিএনপি ও বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কতিপয় সদস্য দোষারোপ করছে। যদি তাই হয়, তাহলে তাদেরকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়নি কেন? এটাই জনগণের প্রশ্ন। এতে প্রমাণিত হয় যে, বিএনপি কিংবা বিরোধী দলের কেউই আন্দোলনের সাথে জড়িত নয়। শত শত নিরীহ ছাত্র-ছাত্রীদেরকে সরকারি দলের সন্ত্রাসী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা হতাহত করলো অথচ সরকারের ইশারায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি শুধু ছয় জনের হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করবে, যা সুকৌশলে পুরো হত্যাকাণ্ডকে ধামাচাপা দেয়ারই নামান্তর। তাই জনগণ পুরো ঘটনা ও হত্যাকাণ্ড নিয়ে আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি করে। নইলে ব্যর্থতার সকল দায় নিয়ে অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগ করা উচিৎ বলে জনগণ মনে করে।

কোটা বিরোধী আন্দোলনে পুলিশ ও আনসার সদস্য যারা নিহত হয়েছেন তাদের জন্য দুঃখ প্রকাশ এবং তাদের বিদেহী আত্মার শান্তি ও পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান বিএনপির মহাসচিব।

নিহতদের পরিবারগুলোকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, নিহত পুলিশ ও আনসার সদস্যদের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক ২ লাখ নগদ টাকা, ৮ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র করে প্রদান করা হয়েছে। অথচ শত শত নিরীহ ও কোমলমতি শিক্ষার্থীদেরকে পাখির মতো গুলি করে গণহত্যা করা হলো যা দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেছে, যারা এই হত্যার সাথে জড়িত তাদেরকে বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর আহ্বান জানাচ্ছি।

একই সঙ্গে ‘বিনা অপরাধে গ্রেপ্তারকৃত’দের বিরুদ্ধে দায়ের করা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও অবিলম্বে তাদের নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।

এদিকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিকে আটক করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নিউ এলিফ্যান্ট থেকে এ্যানিকে গোয়েন্দা পুলিশ আটক করেছে বলে তার বড় ভাই হ্যাপী চৌধুরীর বরাত দিয়ে জানিয়েছেন বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।

 
Electronic Paper