ঢাকা, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪ | ১ কার্তিক ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে যুবদল নেতার সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৭:৩০ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৩, ২০২৪

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে যুবদল নেতার সংবাদ সম্মেলন

কুয়াকাটার হোটেল ব্যবসায়ী এম এ খায়ের মোল্লার অভিযোগে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন যুবদল নেতা মো. জসিম সিকদার।

আজ রোববার প্রেস ক্লাব পটুয়াখালী হল রুমে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও পুরো ঘটনার আদ্যেপ্রান্ত তুলে ধরেন।

এর আগে জসিম সিকদার বিরুদ্ধে অপহরণের পর দুর্বৃত্তদের কবল থেকে বেঁচে ফিরলেও প্রতিনিয়ত হত্যার হুমকিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন বলে এম এ খায়ের মোল্লা নামে এক ব্যবসায়ী অভিযোগ এনে রাজধানীর সেগুনবাগিচার ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে জসিম সিকদার বলেন, ‘আমি ঢাকায় লেখাপড়া করার সুবাদে ঢাকা মহানগর ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক ছিলাম। বর্তমানে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স (আইডিইবি) কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহবায়ক দায়িত্ব পালন করছি। ছাত্রদল করার কারণে স্বৈরাচার হাসিনার বহু গায়েবি ও আজগুবি মামলায় আসামি হয়ে মাসের পর মাস জেল খাটতে হয়েছে। এমনকি রাজনৈতিক কারণে এম এ খায়ের মোল্লা ও আওয়ামী সন্ত্রাসে শিকার হতে হয়েছে। কারণ, খায়ের মোল্লা একজন আওয়ামী লীগ নেতা ভূমিদস্যু। মকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য পদসহ আওয়ামী লীগের বহু পদ-পদবি রয়েছে তার।

ঘটনার বর্ণনার দিতে গিয়ে জসিম সিকদার বলেন, কলাপাড়ার কুয়াকাটা এলাকায় লতা চাপলী মৌজায় এস এ ১২৬২/১ নং খতিয়ানে ১৫-এ সাড়ে পনেরো শতাংশ জমি স্থানীয় মো. সায়েদুর রহমান গংদের থেকে বায়নামূলে ৭৪ লাখ ৪০ হাজার টাকায় ১ তলা ভবনসহ ক্রয় করি। পরে ১ তলা ভবনের উপর আরো ৫ তলা ভবন নির্মাণ শুরু করে ৪ তলা সম্পন্ন করে এবং ওই ভবনে আবাসিক হোটেল ব্যবসা চালু করা হয়। এই এলাকার সম্পত্তির কবলা দলিল সম্পাদনে সরকারি পারমিশনের জন্য আবেদন করলে পারমিশন পাইতে দেরি হওয়ায় আমার সম্পত্তির উপর কু-নজর পরে খায়ের মোল্লার। সায়েদুর রহমানের সঙ্গে আমার কবলা দলিল সম্পূর্ণ না হওয়ায় এম এ খায়ের মোল্লা তার ক্ষমতার দাপটে সায়েদুর রহমান গংদেরকে ২০১৭ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি রাতের অন্ধকারে প্রশাসনের সহায়তায়- ডিবি পুলিশের পরিচয়ে নিজস্ব সন্ত্রাসীবাহিনী দিয়ে অপহরণ করে ঢাকা নিয়ে যায়। সেখানেও খায়ের মোল্লা আইনের তোয়াক্কা না করে তাদেরকে মারধর করে খুন জখমের ভয় ভীতি দেখিয়ে জোর পূর্বক ঢাকাতে বসে কমিশনের মাধ্যমে ২২,০১,০০০/-(বাইশ লক্ষ এক হাজার) টাকা দর্শাইয়া ৭৯৪/১৭নং কবলা দলিল সৃষ্টি করে এবং আমার হোটেল জবর দখল করে। এবং আমি যেনো বাধা দিতে না পারি; সেজন্য সন্ত্রাসী বাহিনীর দ্বারা আমাকে খুন করার জন্য পরিকল্পনা ও প্রশাসন দিয়ে গ্রেফতার করবার চষ্টা চালায়। এমনকি সে সবকিছু গায়ের জোরে জবর দখল করে নেয়।

পরে আমি নিরুপায় হয়ে আইনের আশ্রয় নিয়ে খায়ের মোল্লার জোরপূর্বক সৃষ্টিকৃত দলিল বাতিলের জন্য পটুয়াখালী বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা জজ ১ম আদালতে দেওয়ানি ১৬২/২৪ ইং (১৮-৭-২৪) তারিখে সিভিল মোকদ্দমা দায়ের করি। এ মোকদ্দমায় বিজ্ঞ আদালত ১৯-০৯-২৪ তারিখে সাক্ষী গ্রহণ করে কাগজপত্র পর্যালোচনা করে রায় দেন এবং এম এ খায়ের মোল্লার জোর করে নেওয়া ৭৯৪/২০১৭ নং দলিল খানা বাতিল করেন।

এদিকে, খায়ের মোল্লা মিথ্যা তথ্য দিয়ে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোটার্স এ্যাসোসিয়েশন (ক্রাপ) এ অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলন করায় এবং তাহা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করায় আমার নজরে বিষয়টি আসে। সংবাদ সম্মেলনে যা উল্লেখ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা-বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। এর কোন অংশ সত্য না হওয়ায় আমি আজ সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে তীব্র প্রতিবাদ জানালাম।

কেকে/এজে

 
Electronic Paper