সিইসি ‘স্বস্তিতে’, তবে ‘সন্তুষ্ট নন’
খোলা কাগজ প্রতিবেদক
🕐 ১০:০০ পূর্বাহ্ণ, জুন ১০, ২০২৪
বিএনপি ও সমমনাদের বর্জনের মুখে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন শেষ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল স্বস্তিতে থাকলেও পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারেননি। তার স্বস্তির কারণ হলো, ভোটে বলার মতো সহিংসতা হয়নি, আর সন্তুষ্ট না হওয়ার কারণ হলো ভোটার উপস্থিতি ৬০ শতাংশ না হওয়া।
গতকাল রোববার বিকালে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে উপজেলা ভোট শেষ করে সাংবাদিকদের প্রতিক্রিয়া দেন সিইসি।
তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক সদিচ্ছটা ছিল স্পষ্ট ও ইতিবাচক। ভোটার উপস্থিতি কম হলেও সহিংসতা না থাকা স্বস্তিদায়ক। সার্বিকভাবে নির্বাচনটা শান্তিপূর্ণ হয়েছে। প্রশাসন, পুলিশের যে ভূমিকা প্রশংসনীয়। আমাদের নির্দেশনা তারা কঠোরভাবে প্রতিপালন করছেন এবং রাজনৈতিক সদিচ্ছাও ছিল স্পষ্ট, খুব ইতিবাচক।’
গত ৮ মে, ২১ মে, ২৯ মে, ৫ জুন ও রোববার মিলিয়ে ৪৬৯ উপজেলার ভোট শেষ হয়েছে। চারটি ধাপে উপজেলা নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও ঘূর্ণিঝড় রেমালে কারণে আরেকটি ধাপ বেড়েছে। রোববার ১৯টি উপজেলায় নির্বাচন হলো।
এবারের নির্বাচনের একটি বিশেষত্ব হলো স্বতন্ত্র প্রার্থী। ২০১৫ সালে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক যুক্ত হওয়ার পর এবারই ‘অভিনব’ এমন নির্বাচন হল যেখানে প্রার্থীদের ৯৯ শতাংশেরও বেশি স্বতন্ত্র প্রার্থী।
যখন দলীয় প্রতীক ছাড়া স্থানীয় নির্বাচন হত, তখন দলগুলো পরোক্ষভাবে প্রার্থী দিতো, কিংবা কোনো না কোনো নেতার প্রতি সমর্থন জানাত। এবারো তাও ছিল না।
এর কারণ আওয়ামী লীগ ভোটে প্রার্থী দেয়নি। আর বিএনপি বর্জন করলেও দলটির তৃণমূলের দুইশরও বেশি নেতা ভোটে ছিলেন। তাদেরও দলীয় প্রার্থী হওয়ার সুযোগ ছিল না।
এবারের নির্বাচনে সহিংসতাও তুলনামূলকভাবে কম ছিল। নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার, কেন্দ্র দখল, জাল ভোটের মতো অভিযোগও সেভাবে আসেনি, যা গত এক দশক ধরে বারবার রাজনীতিতে বিতর্ক তৈরি করেছে এবং বিরোধীপক্ষ ভোটের বাইরে গিয়ে আন্দোলনে নেমেছে।
সিইসি বলেন, ‘এবার নির্বাচনে রাজনৈতিকভাবে অংশগ্রহণের সুযোগ ছিল, দেখা গেছে দুই একটি দল ছাড়া ওরা রাজনৈতিক প্রতীকে অংশগ্রহণ করেনি। যার ফলে নির্বাচনটা আগের মতো স্থানীয়ভাবে ব্যক্তিভিত্তিক হয়েছে। যদিও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা অংশগ্রহণ করেছেন, তবে রাজনৈতিক পরিচয়ে নয়।’