উৎপাদন খরচ বেশি, পাটের দাম কম থাকায় হতাশ চাষিরা
সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
🕐 ৩:৪৭ অপরাহ্ণ, জুলাই ১০, ২০২৪
সোনালী আঁশে ভরপুর, ভালোবাসি ফরিদপুর এই জেলাটিকে নিয়ে এইরকমই কথা লোকমুখে শোনা যায়। মূলত পাটের ব্যাপক উৎপাদনের জন্য্ই জেলাটির সুনাম দেশজুড়ে রয়েছে। তবে এবছর তুলনামূলক কমই কমই উৎপাদন হয়েছে পাট। সেইসঙ্গে বেড়েছে পাটের উৎপাদন খরচ। তবে পাটের দাম কম থাকায় হতাশা বিরাজ করছে পাটচাষিদের মধ্যে।এমতাবস্থায় পাটের দাম বৃদ্ধি করার দাবি জানিয়েছেন তারা।
জানা যায়, পাট ও পেঁয়াজের জন্য বিখ্যাত ফরিদপুরের সালথা উপজেলা। এর মধ্যেই শুরু হয়েছে পাট কাটা ও পাটের আঁশ ছাড়ানোর কাজ। গত বছরের তুলনায় এবছর পাটের ফলন অনেক কম। শুরু থেকে অনাবৃষ্টি ও প্রখর রোদে পাট সময়মতো বেড়ে ওঠেনি। যখন পাটের আঁশ মোটা হবে তখনই জোয়ারের পানি নিচু জমিগুলোতে চলে আসে। তাই পাট কাটার উপযোগী হওয়ার আগেই কেটে ফেলতে হচ্ছে। এতে করে ফলন কম হচ্ছে। তবে ফলন কম হলেও পাটের খরচ কম হচ্ছে না। আগের চেয়ে বেশি খরচ হয়েছে কৃষকদের। সে তুলনায় বাজারে পাটের দাম রয়েছে ২৫শ টাকা মণ থেকে ৩২ টাকা মণ।
কৃষকেরা জানান, মাঝারি ধরনের প্রতি মণ পাট যদি কমপক্ষে ৪ হাজার টাকা দাম হতো, তাহলে তারা কিছুটা স্বস্তি পেতেন। পাটের দাম না বাড়লে তাদের লোকসান গুণতে হবে।
উপজেলার পাটচাষি কাইয়ুম মোল্যা ও আবু বক্কার জানান, গত বছরের তুলনায় এবছর পাটের জমিতে খরচ বেশি। গত বছরের চেয়ে এবছর ফলন কম হচ্ছে। বাজারে পাটের চাহিদা কম, সেই সাথে দামও কম। সব মিলিয়ে চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কৃষকের দিকে তাকিয়ে পাটের দাম বৃদ্ধি করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান তারা।
পাট ব্যবসায়ী মোশাররফ হোসেন বলেন, আমরা মানভেদে প্রতিমণ পাট ২৪০০ টাকা থেকে ৩৩০০ টাকা দরে কিনছি। তবে এবার পাটের ফলন কম। পাটের আঁশও পাতলা।
উপজেলা কৃষি অফিসার সুদর্শন সিকদার বলেন, এবছর সালথা উপজেলায় ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। পাটের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮৪ হাজার মেট্রিক টন। বর্তমানে নিচু জমিগুলোতে পানি আসায় পাট কাটা ও আঁশ ছাড়ানোর কাজ চলছে। সেইজন্য পাটের ফলন কিছুটা কম হচ্ছে। আর ১৫/২০ দিন পরে পাট কাটতে পারলে ফলন ভালো হতো। পাট উৎপাদনে এবার যে খরচ তাতে পাটের ন্যায্যমুল্য পেলে কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হবে না।