রেলওয়ের ৪০ শতাংশ পোষ্যকোটা কেন অবৈধ নয়, জানতে চান হাইকোর্ট
অনলাইন ডেস্ক
🕐 ৫:৪৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৪, ২০২৪
বাংলাদেশ রেলওয়ের চাকরিতে ১৪তম গ্রেড হতে ২০তম গ্রেডে মোট শূন্য পদের ৪০ ভাগ পোষ্য কোটার বিধান সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা কেন করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।
জনস্বার্থে সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবীর করা রিটের প্রাথমিক শুনানি রোববার অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসাইন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
এ রিটের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী মো. রোকনুজ্জামান। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে রেলওয়ের সচিব এবং আইন সচিবকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের ক্যাডার বহির্ভূত কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা নিয়ে ২০২০ সালের ২২ নভেম্বর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এ বিধিমালার নিয়োগ পদ্ধতি সংক্রান্ত ৩ বিধির উপবিধি ৩ এ বলা হয়, উপবিধি (১) ও (২) এ যা কিছু থাকুক না কেন সরাসরি নিয়োগযোগ্য ১৪তম গ্রেড হতে ২০তম গ্রেডের মোট শূন্য পদের শতকরা ৪০ ভাগ পদ যোগ্যতাসম্পন্ন পোষ্যদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে।
আইনজীবী মো. রোকনুজ্জামান জানান, সংবিধানের ২৯ অনুচ্ছেদ মতে, নাগরিকদের যেকোনো অনগ্রসর অংশ যাতে প্রজাতন্ত্রের কর্মে উপযুক্ত প্রতিনিধিত্ব লাভ করতে পারেন, সেই উদ্দেশ্যে তাদের অনুকূলে বিশেষ বিধান-প্রণয়ন করার কথা আছে। কিন্তু সরকারি কর্মচারীরা তো অনগ্রসর নাগরিক নয়। তাহলে তাদের জন্য ৪০ শতাংশ কোটা কেন রাখা হবে? এটা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
তাই বিধিমালার ঐ বিধানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়েছে। আদালত রুল জারি করেছেন। ১০ দিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে বলেও জানান মো. রোকনুজ্জামান।