হাজারো সুখ-বেদনার সাক্ষী নোবিপ্রবির নীলদিঘী
জেরিন ফেরদৌস
🕐 ২:১৩ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ১৬, ২০২৪
সারাদিনের ক্লাস, ল্যাব, এসাইনমেন্ট, সিটি ও প্রেজেন্টেশন শেষে যখন মনে নেমে আসে একঘেয়েমিতা; তখন-ই শান্তির পরশ খুঁজতে শিক্ষার্থীরা ছুটে আসে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নীলদিঘীর পাড়ে।
প্রিয়তম ও প্রেয়সীর নতুন কোনো গল্প বাঁধা কিংবা কোন গল্পের ইতি টানার সাক্ষী এই নীলদীঘী। ক্যাম্পাসের কপোত-কপোতীদের ভিড় সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ে এই দিঘীতেই। হাজারো স্মৃতি জমে থাকে চারপাশের সারি সারি ইটের বেঞ্চগুলোতে। দিঘীটির পাড়ে পড়ন্ত বিকেলে চোখে পড়ে চড়ুইভাতি, আড্ডা ও গিটারের সুরে বসে গানের আসর।
বন্ধুদের সাথে খুনসুটি থেকে শুরু করে বারবিকিউ পার্টি, জন্মদিন উদযাপন সবকিছুই হয়ে থাকে এই ছোট্ট নীলদিঘীকে ঘিরে। শরতের আকাশের মিছিমিছি রোদ-বৃষ্টির খেলা উপভোগ করার আদর্শ স্থান নীলদিঘীর সৃজনঘাট। যেখানে শরতের মেঘের উপর বসে কল্পনারাজ্যে হারিয়ে যাওয়া যায়। আবার হরেকরকম বৃক্ষের ছায়াতল থেকে রোদ্রৌজ্জল আকাশটা দেখতেও মন্দ লাগে না। অন্যদিকে, সন্ধ্যা নামার বেলায় রঙ-বেরঙের আলোতে এক অন্যরকম সুভাস ছড়ায় নীলদিঘী। তখন চায়ের কাপ হাতে নীলদিঘীর পাড়ে হাটতে দেখা যায় অনেককে। এ যেনো কিছু গল্প; আবার হয়ে রয় ছোট গল্পের ন্যায় ‘শেষ হইয়াও হইলোনা শেষ’।