ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৪ আশ্বিন ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

তদন্তে বেরিয়ে এলো

ভুয়া নামে ভিজিএফের চাল আত্মসাৎ করতেন আ.লীগ নেতা

ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
🕐 ২:৩১ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৪

ভুয়া নামে ভিজিএফের চাল আত্মসাৎ করতেন আ.লীগ নেতা

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ.লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক আতাউর রহমান মিন্টু কর্তৃক তালিকায় ভুয়া নাম দিয়ে ভিজিএফ (ভায়াবিলিটি গ্যাপ ফান্ডিং) এর সাড়ে ৪৩ মণ চাল আত্মসাতের ঘটনা তদন্তে সত্য প্রমাণিত হয়েছে। হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত ভিজিএফের চাল আত্নসাতের অভিযোগ তদন্তে গঠিত তদন্ত কমিটি সাড়ে ৪৩ মণ চাল আত্নসাতের ঘটনা সত্য উল্লেখ করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন।

জানা যায়, গত ঈদুল আজহা উপলক্ষে উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ভিজিএফের ১০ কেজি করে চাল বিতরণের জন্য ৬ হাজার ৩৭৫ উপকারভোগীর তালিকা প্রণয়ন করা হয়। ইউপি সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্যগণ নিজ নিজ এলাকার হতদরিদ্র মানুষের নাম এ তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য প্রদান করেন। কিন্তু চাল বিতরণের সময় ইউপি সচিবের নিকট থেকে উপকারভোগীর তালিকা সংগ্রহ করে ইউপি সদস্যরা দেখতে পান তালিকায় অন্তর্ভুক্ত অনেক উপকারভোগীই তাদের অপরিচিত। তাছাড়া তালিকার অনেক জায়গায় একই ব্যক্তির নাম বার বার এবং মৃত ব্যক্তির নামও রয়েছে। এ অবস্থায় পরিষদের সকল ইউপি সদস্য বিতর্কিত তালিকা দিয়ে চাল বিতরণে আপত্তি জানান। কিন্তু চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মিন্টু ইউপি সদস্যদের আপত্তি উপেক্ষা করে বিতর্কিত তালিকা দিয়েই উপকারভোগীদের মাঝে চাল বিতরণ করেন এবং ভুয়া নামে ইস্যুকরা স্লিপের চালগুলো নিজের লোক দিয়ে তুলে আত্নসাৎ করেন। পরে গত ১২ জুন ওই ইউনিয়ন পরিষদের ১১ জন ইউপি সদস্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে তালিকায় ভুয়া নাম দিয়ে ভিজিএফের চাল আত্নসাতের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

এদিকে ইউপি সদস্যদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা প্রশাসন ঘটনা তদন্তে ফুলবাড়ী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব প্রদান করেন।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সবুজ কুমার গুপ্ত বলেন, দীর্ঘ তদন্তে চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মিন্টু কর্তৃক তালিকায় ভুয়া নাম ব্যবহার করে ১.৭৪০ মেট্রিকটন বা সাড়ে ৪৩ মণ ভিজিএফের চাল আত্মসাতের সুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে। দায়ী ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মিন্টুর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অভিযোগকারী ইউপি সদস্যগণ তাদের অভিযোগ প্রত্যহার করেছেন।

ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেহেনুমা তারান্নুম বলেন, গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জেলা প্রশাসক বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে।

 
Electronic Paper