ঢাকা, সোমবার, ৭ অক্টোবর ২০২৪ | ২১ আশ্বিন ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

যুবদল করেও আজ অনুপ্রবেশকারী

মাহফুজুল আলম খোকন, উত্তরা
🕐 ৬:০২ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ০৫, ২০২৪

যুবদল করেও আজ অনুপ্রবেশকারী

বিমানবন্দর থানা যুবদলের সহ-সভাপতি ব্যবসায়ী জাকির হোসেন ও হান্নান বিগত সরকারের সময় যথাক্রমে ১৩ ও ১১ টি রাজনৈতিক মামলার আসামি। তবে সম্প্রতি তাদেরকে ছাত্র-জনতা হত্যা মামলার আসামি করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

দলের একটি পক্ষ থেকে তাদের নাম হত্যা মামলায় ঢুকানোর চেষ্টা করছেন বলে নিশ্চিত করেছেন জাকির হোসেন। তিনি আরো জানান, নতুন করে তাদেরকে আওয়ামী সেবকলীগের নেতা বানিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার চালিয়ে চরিত্র হননের মতো কাজ যেমন করে যাচ্ছে আবার একই সাথে বিএনপির নেতা ও নগর উত্তর কমিটির সাবেক সদস্য আলাউদ্দিন সরকার টিপুকে জড়িয়ে নানা গল্প কাহিনী সাজাচ্ছে। বিগত সরকারের জেল জুলুম ও রোষালন শেষে নতুন করে তাদের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র হচ্ছে,তাতে তিনি মানষিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন। শনিবার স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কালে জাকির হোসেন এসব কথা বলেন।

মতবিনিময়কালে তিনি আরো জানান, আমি স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের আমলে বিএনপির রাজনীতি করতে গিয়ে হামলা-মামলা, জেল-জুলুমের শিকার হয়েছি। দীর্ঘদিন প্রায় ৭৫ দিন কারাগারে থেকেছি। বিমান বন্দর থানা যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি হিসেবে এ জেল জুলুম ও মামলার শিকার হই। রাজনীতি করতে গিয়ে এতো ত্যাগ-তিতিক্ষার পরেও সম্প্রতি একটি চক্র আমাকে এবং যুবদলের কর্মী আব্দুল হান্নানকে নিয়ে কুৎসা রটাচ্ছে। আমাকে অনুপ্রবেশকারী বানাচ্ছে। আমি বলতে চাই আমার বাবা আব্দুল আউয়াল দীর্ঘ ৪০ বছর থেকে বিএনপির একজন সক্রিয় সমর্থক। যা এলাকার ছোট-বড় সবাই জানে। সেই বাবার সন্তান হিসেবে আমি অনুপ্রবেশকারী হই কিভাবে। মূলত, রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ীক কোন্দলের কারণে একটি কুচক্রি মহল আমার এবং আমার রাজনৈতিক কর্মী হান্নানের বিরুদ্ধে এই ধরণের কুৎসা রটিয়ে রাজনৈতিকভাবে আমাদের ক্ষতি করতে উঠে পড়ে লেগেছে।

এ সময়ে কয়েকটি মামলার কপি দেখিয়ে তিনি বলেন, বিগত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার শাসন আমলে আমার বিরুদ্ধে ১৩টি মামলা হয়েছে। বিস্ফোরক, বিশেষ ক্ষমতা আইন, নাশকতাসহ বিভিন্ন ধারা এনে রাজধানীর দক্ষিণখান, উত্তরা পশ্চিম থানা, উত্তরা পূর্ব থানা ও বিমান বন্দর থানায় এসব মামলা হয়েছে। দিনের পর দিন এসব মামলায় জেল খাটতে হয়েছে। আবার গ্রেপ্তার আতঙ্কে পরিবার ছেড়ে পালিয়ে বেড়াতে হয়েছে। আমার বাবা-মা, স্ত্রী-সন্তানরা মাসের পর মাস আমাকে ছাড়া দুর্বিসহ জীবন-যাপন করেছেন। আওয়ামী লীগ আমলে আমার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, বাড়ি ভাঙচুর হয়েছে।

সেই সময় অর্থ্যাৎ ২০১৯ সালে কারাগার থেকে বের হবার পর পুলিশ ও তৎকালীন সরকারদলীয় লোকজন আমাকে নানান হয়রানী করেছে। পুলিশি গ্রেপ্তার এড়াতে আমাকে আত্মগোপনে থাকতে হয়েছে। এই সময়গুলোতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, পরিবার সব কিছু থেকে দূরে থেকেছি। জেল থেকে বেরিয়ে কয়েকবছর প্রকাশ্য রাজনীতি থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে ব্যবসায় মনোযোগী হই। সে সময় স্থানীয় কাউন্সিলর আমাকে জিম্মি করে অনেক কিছুই করে যেগুলোতে আমার বিন্দুমাত্র সায় ছিল না।

 
Electronic Paper