নোয়াখালী ইপিআই কেন্দ্রগুলোতে শিশুদের টিকা সংকট
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৪:৪১ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ০৭, ২০২৪
নোয়াখালীর নোয়ান্নাই ইউনিয়নের আতাশপুরের গৃহিণী কামরুন নাহার রকসি তার ৮ মাস বয়সী শিশুর টিকা দেওয়ার জন্য পৌরসভার টিকাকেন্দ্রে যোগাযোগ করলে জানানো হয় প্রথম দফায় হাত ও পায়ের চারটি টিকা গত এক মাস থেকে পাওয়া যাচ্ছে না। প্রায় গত এক মাস ধরে নোয়াখালীর ইপিআই টিকাকেন্দ্রে পেনটা ও পিসিবি টিকার সংকট চলছে।
আজ সোমবার সরেজমিনে দেখা যায়, কাদির হানিফ ইউনিয়নের একটি ক্লিনিকে টিকা দিতে এসে সংকটের কারণে ফিরে যাচ্ছেন লোকজন।
পৌরসভার টিকাকেন্দ্রে টিকা না পেয়ে গৃহিণী নুর নাহার বেগম সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে যোগাযোগ করেন। সেখানেও একই তথ্য পান। নির্ধারিত সময়ে শিশুকে টিকা দিতে পারবেন কি না, এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন তিনি।
নোয়াখালী জেলায় নবজাতক শিশুদের টিকার এমন সংকটের কারণে নুর নাহারের মতো অভিভাবকেরা শিশুদের টিকা দেওয়া নিয়ে দুর্ভাবনায় পড়েছেন। ইপিআই কেন্দ্রগুলো থেকে নবজাতককে টিকা না দিয়েই ফিরতে হচ্ছে তাদের। কবে টিকার সরবরাহ ঠিক হবে ও টিকা সহজলভ্য হবে, তাও জানেন না তারা।
ক্ষোভ প্রকাশ করে গৃহিণী নুর নাহার বেগম বলেন, টিকার মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ সেবা এভাবে বন্ধ থাকা খুবই দুঃখজনক। অনেক অভিভাবক নির্ধারিত সময়ে শিশুর টিকা দিতে পারেননি। দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে এই সমস্যা সমাধান করা জরুরি।
শিশুদের নিউমোনিয়া সংক্রামক রোগে শিশু মৃত্যুহার কমানোর জন্য এসব টিকা দেওয়া হয়।
কয়েকজন মাঠকর্মী জানান, গত এক মাসের বেশি সময় ধরে পেনটা ও পিসিবি টিকার সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনার কার্যালয় এবং জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে যোগাযোগ করার পর তাদের জানানো হয়। শিগগিরই টিকার চালান দেশে এসে পৌঁছাবে। তখন এ সংকট কেটে যাবে।
কেন্দ্রগুলোয় টিকার সংকটের কথা অস্বীকার করে জেলা সিভিল সার্জন মাসুম ইফতেখার বলেন, শিশুদের শরীরে প্রয়োগ করা এসব টিকা বিদেশ থেকে আনা হয়। মাঝেমধ্যে টিকার কিছুটা সংকট হয়েছে। তবে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে সংকট কেটে যাবে।
উল্লেখ্য, জন্মের দুই বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের এসব টিকা দেওয়া হয়।
কেকে/এজে