নবীনদের বরণ করে নিলো রাবি, শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষায় সচেষ্ট প্রশাসন
রাবি প্রতিনিধি
🕐 ৭:৩২ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ০৮, ২০২৪
বর্ণিল আয়োজনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ এবং তাদের সম্মান, স্বাধীনতা ও অধিকার রক্ষায় সচেষ্ট থাকার আশ্বাস দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব।
আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে দশটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে বিশ্ববিদ্যালয়টির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক অবায়দুর রহমান প্রামানিকের সভাপতিত্বে শিক্ষার্থীদের ফুল ও বিভিন্ন শিক্ষা সামগ্রী দিয়ে বরণ করে নেয় রাবি প্রশাসন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, ছাত্র পরিচয়টা অতি গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ছাত্র পরিচয়ের সাথে একটা অসাধারণ অ্যাসপেক্ট জড়িত থাকে। ছাত্ররা শিখে এবং শেখার যে আনন্দ অর্থবহ জীবনে আর কিছু নেই। আমাদের প্রত্যেকের উচিত আজীবন এই ছাত্রত্ব বজায় রাখা। পৃথিবীতে যত রকমের আনন্দ আছে তার মধ্যে সবচেয়ে বড় আনন্দ হলো নতুন কিছু শেখা ও সেগুলো বুঝা। আর এটিই একটা মানুষের জীবনকে সমৃদ্ধ করে। যতদিন পর্যন্ত একটা মানুষ শেখে ততদিন তার কোনো বার্দ্ধক্য নাই। যেদিন থেকে মানুষ নতুন কিছু জানতে বুঝতে ও চিন্তা করতে ভুলে যায় সেদিনই সে বৃদ্ধ।
তিনি আরো বলেন, এই নতুন বাংলাদেশে দাড়িয়ে আমরা তোমাদের কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ যে এই ক্যাম্পাসে তোমাদের সম্মান, তোমাদের স্বাধীনতা, অধিকার ও মর্যাদা আমরা যতদিন আছি তা নষ্ট হতে দিবো না। এটা বারবার হয়েছে। শিক্ষার্থীরা তাদের অধিকার হারিয়েছে, তারা অসম্মানিত হয়েছে কিন্তু এখন আর এটা হতে দিব না। এটা আমাদের সকলের অঙ্গিকার। এই ক্যাম্পাসে আমার ছাত্ররা নির্ভয়ে সম্মানের সাথে তাদের সময় কাটাবে। এখানে তোমরা শিখতে এসেছো। শিখতে গেলে যে মুক্ত পরিবেশ প্রয়োজন, সেই পরিবেশ আমরা সৃষ্টি করবো।
রাবি উপাচার্য আরো বলেন, তোমাদের কাছে আমাদের চাওয়া, তোমরা জানবে, শিখবে ও অনেক বড় মানুষ হবে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পা রাখার পরেই একজন শিক্ষার্থীর স্ট্যাটাস হয়ে যায় সে একজন ইয়াং স্কলার। আমরা যেন প্রকৃত সত্যগুলোর মর্যাদা ফিরিয়ে দিতে পারি সেদিকে সচেষ্ট হওয়া জরুরি।
নবীন শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে সাফিন আহমেদ তার অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, মনে অঢেল উত্তেজনা, কেউ আবার ভাবছে কীভাবে এখানে চান্স পেলাম? আসলে এই উত্তেজনা আমাদের মনের মাঝে আজীবন স্মৃতি হয়ে থেকে যাবে। এই বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটা মঞ্চ। আমাদের উদ্দেশ্য শুধু জ্ঞান অর্জন নয় তার পাশাপাশি নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করা৷ আমি আশা করি এই বিশ্ববিদ্যালয় শুধু কাগজে কলমের জ্ঞান নয় আমাদের স্বপ্ন দেখাতেও শিখাবে। আমাদের স্বপ্ন দেখার পাশাপাশি বাস্তবায়নে প্রয়োজন আমাদের একতা। আমরা সবাই একসাথে ঐক্যবদ্ধভাবে আমাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে চাই।
এসময় অনুষ্ঠানে প্রক্টর মাহবুবুর রহমান, ছাত্র-উপদেষ্টা আমিরুল ইসলাম কনক, জনসংযোগ দফতর প্রশাসক আখতার হোসেন মজুমদারসহ বিভিন্ন অনুষদের অধিকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
কেকে/এজে