ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪ | ২৪ আশ্বিন ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ব্যখ্যা দিলেন নেতারা

বিএনপির ত্যাগীরা কেন অনুপ্রবেশকারী হচ্ছেন?

মাহফুজুল আলম খোকন
🕐 ১০:০৬ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ০৯, ২০২৪

বিএনপির ত্যাগীরা কেন অনুপ্রবেশকারী হচ্ছেন?

আমাদের দলীয় পদ পদবী থাকা সত্ত্বেও কিছু অনুপ্রবেশকারীই আমাদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি নেতারা। তারা আরো বলেন, বিএনপির দলীয় অন্তকোন্দলের কারণে আমাদের অনুপ্রবেশকারী বানানো হয়েছে। আমরা দীর্ঘ দিন যাবত শহিদ জিয়ার আদর্শের দল বিএনপির রাজনীতি করি।

রাজধানীর তুরাগের বাউনিয়া এলাকায় গত শুক্রবার তুরাগ থানা বিএনপির প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘিরে নানা সমালোচনার মুখে পড়েন ডিএনসিসি ৫২ নং ওয়ার্ড তথা বাউনিয়া বিএনপির নেতারা।

আজ বুধবার বিকেলে উত্তরা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময়কালে এমন ব্যাখ্যা দিলেন বিএনপি নেতারা।

এই বিষয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বরাবর একটি অবহিত করন চিঠি দিয়েছেন ৪ নেতা। চিঠিতে তারা উল্লেখ করেন, তুরাগ বিএনপির বিভিন্ন পদে থাকা আমাদের ৪ জনকে অন্যায়ভাবে অনুপ্রবেশকারী সাজানো হয়। যার প্রকৃত সত্য আমরা দলের হাইকমান্ডকে জানিয়েছি।

চিঠিতে বলা হয়: আমরা নিন্ম স্বাক্ষরকারী ৪ জন যথাক্রমে- ১. আবু তাহের খান আবুল, যুগ্ন আহবায়ক তুরাগ থানা বিএনপি। ২. মো. ইসহাক মিয়া, সিনিয়র সহ-সভাপতি, ৫২ নং ওয়ার্ড বিএনপি। ৩. আশরাফ খান, যুগ্ম সম্পাদক ৫২ নং ওয়ার্ড বিএনপি। ৪. সোহেল রানা, সদস্য ৫২ নং ওয়ার্ড বিএনপি।

দীর্ঘ ১৮ বছর থেকে আওয়ামী ফ্যাসিষ্ট সরকারের নানা নির্যাতন ও জেল জুলুমের পরও দলীয় আনুগত্য এবং শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ থেকে বিন্দুমাত্র সরে যাইনি। আওয়ামী ফ্যাসিস্ট পুলিশবাহিনীর নানা তৎপরতার পরও দলীয় সকল কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছি। কিন্তু আমাদের দলীয় অন্তকোন্দল ও ওয়ার্ড কমিটির নেতাদের পক্ষে না থাকার কারনে নিমেষেই আমাদেরকে অনুপ্রবেশকারী বানিয়ে সামাজিক মাধ্যমসহ নানা গণমাধ্যমে মিথ্যা সংবাদ সাজিয়ে আমাদের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার কলঙ্কিত করার অপপ্রয়াস চালানো হচ্ছে। সেই সাথে আমাদের নেতা মহানগর উত্তর বিএনপির সদ্য সাবেক যুগ্ম আহবায়ক হাজী মোস্তফা জামানের রাজনীতিকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে একটি পক্ষ। আমরা বেশ কিছু দিন থেকেই দেখছি, আমাদের দলের কিছু সিনিয়র নেতার সঙ্গে না থাকলেই অনুপ্রবেশকারীর তকমা দিয়ে সহজেই আমাদের অনেকের রাজনীতিকে বিতর্কিত করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। আমরা দলীয় পদধারী নেতারা এসব ঘৃন্য চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক দলীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থার দাবি করেছি।

চিঠিতে ৪ জনের দলীয় পরিচয়সহ তথ্যাধি উপস্থাপন করে জানানো হয়, আবু তাহের খান আবুল বর্তমানে তুরাগ থানা বিএনপির একজন যুগ্ম আহবায়কের দায়িত্ব পালন করছেন।

রাজনৈতিক কারনে প্রায় ২০টির মতো নাশকতার মামলার আসামী করা হয়েছে, কিছু মামলায় সাজাও হয়েছে। ছাত্রদল থেকেই এই নেতা বিএনপির রাজনীতি শুরু করেন।

মো. ইসহাক মিয়া সিনিয়র সহ-সভাপতি, ৫২ নং ওয়ার্ড বিএনপি। তিনি দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর থেকে তুরাগের হরিরামপুর ইউনিয়ন বিএনপির নানা পদে নিযুক্ত ছিলেন। সেই সাথে গত ১৮ বছরে তুরাগ থানায় ৭ টি এবং উত্তরার অপর দুটি থানায় মোট ৮ টি রাজনৈতিক মামলার এজাহারভুক্ত আসামী। একটি মামলায় ৩০ মাসের সাজাও পান তিনি।

আশরাফ খান যুগ্ম সম্পাদক ৫২ নং ওয়ার্ড বিএনপি। ২০০৮ সালে হরিরামপুর ইউপির ৮ নং ওয়ার্ড যুবদল দিয়ে রাজনীতি শুরু তার। পরে ২০১৩ সালে মুলদল বিএনপিতে পদধারী নেতা হন। তার নামেও বিভিন্ন থানায় একাধিক রাজনৈতিক মামলা আছে। সর্বশেষ জুলাই-আগষ্ট আন্দোলনে গত ২০ জুলাই তাকে গ্রেফতার করা হয়। ৫ আগষ্টের পরে জামিনে মুক্ত হন তিনি।

সোহেল রানা সদস্য ৫২ নং ওয়ার্ড বিএনপি। বিএনপির দলীয় কোন পদে না থাকলেও বিএনপির একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে গত ৫ বছর থেকে নিয়মিত কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করছেন। যা দলের বিভিন্ন নেতারা ভালোভাবেই অবগত আঁছেন।

মতবিনিময় শেষে দলের প্রকৃত অনুপ্রবেশকারি ঠেকাতে সাংবাদিকদের সহযোগীতা কামনা করেন নেতারা।

কেকে/এজে

 
Electronic Paper