ঢাকা, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪ | ১ কার্তিক ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

বিদেশে শুটিং করতে একটা শান্তি অনুভব করি: মিঠু মনির

অনলাইন ডেস্ক
🕐 ৪:০৯ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১০, ২০২৪

বিদেশে শুটিং করতে একটা শান্তি অনুভব করি: মিঠু মনির

এই সময়ের ব্যস্ত সিনামাটোগ্রাফার মিঠু মনির এবার শুটিং করছেন লন্ডনে। তিনি বাংলাদেশে যেমন ব্যস্ত থাকেন নাটক, বিজ্ঞাপন, ওয়েব সিরিজ, ও ফিল্মের শুটিং নিয়ে তার ধারাবাহিকতায় তিনি বিভিন্ন দেশেও নিয়মিত শুটিং করছেন এবারের শুটিং করতে বর্তমানে তিনি লন্ডনে অবস্থান করছেন। অনুভূতি প্রকাশ করে তিনি বলেন, বিদেশে শুটিং করতে আলাদা একটা শান্তি অনুভব করি।

এবারের শুটিংয়ে ২ টা সাত পর্বের নাটক, কিছু একক নাটক ও ধারাবাহিক নাটকের শুটিং করবেন লন্ডনে। নাটকগুলো রচনা করেছেন ইউসুফ আলী খোকন ও পরিচালনায় ছিলেন আল হাজেন।

সাত পর্বের নাটক গুলোর নাম হলো ‘লন্ডনী জামাই’ ও  ‘জার্নি টু লন্ডন’। তাছাড়া বৈশাখী টেলিভিশনের সুপার হিট সিরিয়াল ‘হাবুর স্কলারশিপ’।

শুটিংয়ের সিনেমটুগ্রাফার ছিলেন, ‘মিঠু মনির’ তিনি বলেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শুটিং করেছেন তবে এবারের লন্ডনের শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা ছিল অন্যান্য দেশে তুলনায় আলাদা। কারণ একটা সময় ছিল এই ব্রিটিশরা সারা বিশ্ব শাসন করতো যে প্যালেস থেকে আজ মিঠু মনির সেই ব্র্যাকিংহ্যাম প্যালেসের সামনে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের নাটক শুটিং করছেন।

মিঠু মনির বলেন, বাংলাদেশের নাটকের জন্য এটা গর্বের বিষয়। লন্ডনে বিখ্যাত কিছু লোকেশনে শুটিং করেছি যেমন- ব্রাকিংহাম প্যালেস, সেন্ট্রাল লন্ডন, টাওয়ার ব্রিজ, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়, সারলোক হোমসের বাড়ির সামনেসহ বিভিন্ন দৃষ্টি নন্দন স্থানে শুটিং করেছি।

তবে বিদেশে কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি দেশে যেমন আমরা শুটিং করি সেটে সবকিছু এরেঞ্জ করা থাকে ইউনিটে ৪০ থেকে ৫০ জন লোক কাজ করে । কিন্তু বিদেশের ক্ষেত্রে তার উল্টাটা,  ভিসা জটিলতার কারণে খুবই সামান্য যেমন ১০ থেকে ১২ জনের টিম নিয়ে কাজ করতে হয়, অনেক কষ্ট করতে হয় তারপরও আলাদা একটা শান্তি অনুভব করি বিদেশে শুটিং করতে। তিনি যোগ করেন।

তিনি আরো জানান, এবারের শুটিংয়ে আমাদের সাথে আর্টিস্ট হিসেবে ছিলেন- রাসেল সীমান্ত, অহনা রহমান, তানজিকা আমিন, মিরাজ খান রাজ  ও লন্ডনের কিছু বাঙালি শিল্পী অভিনয় করেছেন। লন্ডনে আমাদের শুটিং হয়েছে মোট ২০ দিনের মত তারপর আবার দেশে এসে নিয়মিত শুটিং শুরু করব আমি।

এই নির্মাতা অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, আর ভিজুয়াল কথা যদি বলি ক্যামেরা দিয়ে যেদিকে ফ্রেম ধরি সেদিকেই সুন্দর লাগে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন শহর তাই তো খুবই সুন্দর ভিজুয়ালে নাটকগুলোর কাজ হয়েছে। একটা বিষয় খুব দারুণ লাগছে যে বাংলাদেশে আউটডোর শুটিং করতে গেলে যেমন অনেক মানুষ ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে থাকে কিন্তু বিদেশের ক্ষেত্রে তার উল্টাটা। হাজার হাজার মানুষ ফ্রেমের মধ্যে থাকলেও সবাই যার যার মত ব্যস্ত কেউ ক্যামেরায় তাকায় না। আমার কাছে বিষয়টা দারুণ লাগছে। আমি গুণী পরিচালক ‘আল হাজেন’ ভাইয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমার উপর আস্থা রাখার জন্য। সবার ভালোবাসা ও দোয়া কামনা করছি।

কেকে/এজে

 
Electronic Paper