ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১ আশ্বিন ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

রোপা-আমন পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক-কৃষাণীরা

ফারুক আহম্মেদ, খানসামা (দিনাজপুর)
🕐 ৫:৫৫ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৩, ২০২৪

রোপা-আমন পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক-কৃষাণীরা

শ্রাবণের শেষের বৃষ্টির পানিতে, মনে স্বস্তি ফিরেছে রোপা-আমন চাষিদের। মাঠজুড়ে আমনের ক্ষেতে রাসায়নিক সার, কীটনাশক ও পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক-কৃষাণীরা।

মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) সরেজমিনে এমনই চিত্র দেখা গেছে দিনাজপুরের খানসামার বিভিন্ন ফসলের মাঠে।

গত ৫আগস্ট ছাত্র-জনতার গণবিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের সভানেত্রী শেখ হাসিনা। সরকার পতন ও পরবর্তী লুটপাট নিয়ে এলাকার কৃষকরা ছিল বেশ হতাশায়। এরপর জনমনে শান্তি ফিরে আসায় স্বপ্নের ফসল ফলাতে ব্যস্ত তারা।

অনেক প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে বেড়ে উঠতে শুরু করেছে কৃষকের স্বপ্নের ফসল। অন্য বছরের তুলনায় এ বছর আমন রোপণের শুরু থেকে কৃষককে পানির জন্য ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হয়নি। শ্রাবণের মধ্য থেকে আকাশে বৃষ্টির দেখা মিলছিল। এতে সঠিক সময়ে আমন ধান রোপণ করতে পেরেছে কৃষকরা।

মাঠ ঘুরে আরও দেখা যায়, কম-বেশি সব কৃষকের কষ্টে অর্জিত আমন ধানের সবুজ পাতার রঙে ছেয়ে গেছে। বোরো কর্তন শেষে রোপা-আমন চাষে, কোমর বেঁধে মাঠে কাজ করছেন কৃষক-কৃষাণীরা। কেউ ধান গাছের আগাছা পরিষ্কার করছেন, কেউ সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করছেন। সবুজ পাতায় বাতাসে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন। রোপা-আমন
ধানের বাম্পার ফলনের আশায় কৃষকের মুখে হাসির ছাপ।

গোবিন্দপুর গ্রামের কৃষক আ. সালাম বলেন, গত কয়েকদিন একটা দুঃস্বপ্ন এর মধ্যে দিয়ে আমরা গেছি। হাসিনা পদত্যাগের পর দেশে একটা অরাজগতা সৃষ্টি হয়েছিল। নুতুন সরকার গঠন হওয়ার পর কিছুটা শান্তি পাচ্ছি। কৃষিনির্ভর আমাদের খানসামা। আমরা বর্তমানে ফসল উৎপাদন ও পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছি। এবার বড় ধরনের দুর্যোগ না হলে আমন ধানের বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

নেউলা গ্রামের আমন চাষি আজিজুল জানান, কয়টা দিন গেইল, তাতে ভাবিছুনু এইবার আবাদ করির পারিমো না। যাক সেইটা কাটি উঠি এখন কাম করিছি। যদি কোনো দুর্যোগ, রোগ-বালাই না হয় তাহলে আমনের ফলন খুব ভালো হবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ইয়াসমিন আক্তার জানান, এ বছর উপজেলায় ১৩ হাজার ৭৬০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ১৩ হাজার ৭৫২ হেক্টর অর্জন করা হয়েছে। রোগবালাই দমনে প্রতিনিয়ত কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে থেকে তদারকি করছে। আশা করছি কৃষকরা ভালো ফলন পাবেন।

 
Electronic Paper