ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১ আশ্বিন ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

সাঘাটায় অস্ত্রের মুখে পাওয়ার টিলার ছিনতাইয়ের অভিযোগ

নুর হোসেন রেইন, সাঘাটা (গাইবান্ধা)
🕐 ৫:৩৯ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০২৪

সাঘাটায় অস্ত্রের মুখে পাওয়ার টিলার ছিনতাইয়ের অভিযোগ

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার কচুয়া ইউনিয়নের অনন্তপুর গ্রামের, মৃত তছির উদ্দিনের ছেলে আনিছুর রহমানের ১ লক্ষ্য ৭০ হাজার টাকা মূল্যের জমি হালচাষ দেওয়ার পাওয়ার টিলার অস্ত্রের মুখে ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ফারুক, শহিদুলসহ ১০-১২ জনের একটি দলের বিরুদ্ধে।

অভিযোগে জানা যায়, সাঘাটা উপজেলার অনন্তপুর গ্রামের মৃত তছির উদ্দিনের ছেলে আনিছুর রহমান (৩৬)। একজন অসহায় গরীব কৃষক। সে ২০২১ সালে চারটি সংস্থা থেকে কিস্তির উপর টাকা উত্তোলন করে। গোবিন্দগঞ্জের কাটাখালি বালুয়া হাট মেসার্স ভাই ভাই মেশিনারিজ স্টোর দোকান থেকে ১ লক্ষ্য ৭০ হাজার টাকার মূল্যের এসিআই চেংটু পাওয়ার টিলার ক্রয় করেন। উক্ত পাওয়ার টিলার দিয়ে অনন্তপুর গ্রামের শতাধিক মানুষের জমিতে হাল চাষ দিয়ে কোনোমতে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। প্রতিবছর দুটি হালখাতার মাধ্যমে হাল চাষ বাবদ টাকা পরিশোধ করেন গ্রাহকরা। এর মধ্যে মোজা মিয়ার ছেলে ফারুক মিয়া (২৬) ৩ থেকে ৪ বছরে ১৮ হাজার টাকা বাকি করেন। দুটি হালখাতায় ৬শ টাকা পরিশোধ করেন, বাকি আরো ১৭ হাজার ৪শ টাকা আনিছুর রহমানকে না দিয়ে তালবাহানা করতে থাকেন। সে টাকা চাইলেই প্রাণনাশের হুমকি দিতে থাকেন। ঘটনার দিন ২৫ আগস্ট বিকালে অনন্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে অবস্থানকালে আনিছুর রহমানকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ প্রাণনাশের হুমকি দেয়। পরে আনিছুর রহমান এ ব্যাপারে সাঘাটা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ ঘটনা স্থল পরিদর্শন করে। ক্ষিপ্ত হয়ে বিকেলে ফারুক, শহিদুল, আসাদুল, ছায়দারসহ ১০-১২ জনের একটি দল লাঠি ও অস্ত্র নিয়ে এসে জমিতে হাল চাষ করা অবস্থায় আনিছুর রহমানকে মিথ্যা সুদের টাকা দাবি করে অস্ত্রের মুখে পাওয়ার টিলারটি ছিনতাই করে নিয়ে যায়। বর্তমানে আমন মৌসুমে শতাধিক জমির মালিক বিপাকে পড়েছেন, হাল চাষ দিতে পারছেন না তারা।

আনিছুর রহমান বলেন, আমি গরিব মানুষ হাল চাষের ১৭ হাজার ৪শ টাকা না দিয়ে উল্টো সুদের টাকা দাবি করে জোরপূর্বক আমার পাওয়ার টিলার নিয়ে গেছে ফারুক। আমি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনাসহ পাওয়ার টিলার উদ্ধারে জোর দাবি জানাচ্ছি।

এবিষয়ে ফারুক মিয়ার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

 
Electronic Paper