ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১ আশ্বিন ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

সাকিব-মিরাজের ঘূর্ণিতে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জয়

অনলাইন ডেস্ক
🕐 ৪:২৮ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৫, ২০২৪

সাকিব-মিরাজের ঘূর্ণিতে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জয়

১৪তম টেস্টে এসে অপেক্ষার প্রহর ফুরালো বাংলাদেশের। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে জয় মিললেও অধরাই ছিল টেস্টে। আগের ১৩ টেস্টের ১২টিতে হার ও একটি জয়। ঘরের মাঠে ম্যাচ হওয়ায় তাই অনেকেই পাকিস্তানকে ফেভারিট হিসেবেই দেখেছিল। কিন্তু শেষদিনে এসে মিরাজ-সাকিবের ঘূর্ণিতে কাঙ্ক্ষিত জয় পেল বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে ২০২২ সালের পর ঘরের মাঠে জয় না পাওয়া পাকিস্তান জয়বঞ্চিত হলো।

নতুন করে নতুন এক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে রাজপথে নেমেছিল শিক্ষার্থীরা। তাদের আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। তারপর থেকেই দেশ সংস্কারের কাজ শুরু হয়। তারই ধারাবাহিকতায় দীর্ঘ এক যুগ পর পরিবর্তন আসে বিসিবির হটসিটে। নাজমুল হাসান পাপন দায়িত্ব ছেড়ে দেয়ার পর সেখানে সাবেক অধিনায়ক ফারুক আহমেদ হন বিসিবির নতুন বস। সব নতুনের মাঝে দেশের ক্রিকেটও যেন নতুন করে স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেছে। সরকার পতনের পর প্রথম ম্যাচেই জয় পেল বাংলাদেশ। তাও সেটি পাকিস্তানের বিপক্ষে।

শেষ দিনে জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল মাত্র ৩০ রান। সময় ছিল পর্যাপ্ত, হাতে ছিল ১০ উইকেট। জয় পেতে তেমন একটা বেগ পেতে হয়নি সফরকারীদের। দুই ওপেনার জাকির হাসান ও সাদমান ইসলাম দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। জাকির হাসান ১৫ রানে ও সাদমান ইসলাম ৯ রানে অপরাজিত থাকেন।

বুধবার (২১ আগস্ট) শুরু হওয়া ম্যাচটির প্রথম ইনিংসে পাকিস্তান ৪৪৮ রান সংগ্রহ করে ইনিংস ঘোষণা করে। তখন ধারণা করা হচ্ছিল ম্যাচটিতে হারতে যাচ্চে বাংলাদেশ। এর অবশ্য কারণও ছিল। কেননা বাংলাদেশ যে পাকিস্তানের মাটিতে আতিথেয়তা নিতে গিয়েছে। ঘরের মাঠে পাকিস্তানি বোলারদের মোকাবিলা করাটা তো সহজ না!কিন্তু রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের পঞ্চম দিনে নাটকীয়ভাবে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেয় টাইগার বোলাররা।

সাইম আইয়ুবের উইকেট হারিয়ে ৯৪ রানে পিছিয়ে থেকে চতুর্থ দিন শেষ করা পাকিস্তান শেষ দিনে এসে ১১৮ রান তুলতেই ৮ উইকেট হারিয়ে ফেলে। এতে করে বাংলাদেশের জয়টা ছিল অনুমেয়। কিন্তু একপ্রান্তে উইকেট আগলে রেখে টাইগারদের হারকে বিলম্বিত করছিলেন প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান মোহাম্মদ রিজওয়ান। যদিও শেস পর্যন্ত দলীয় ১৪২ রানে ৯ম উইকেট হিসেবে তাকে ফেরান মেহেদি মিরাজ। তার আগে অবশ্য রিজওয়ান ৮০ বলে ৬ চারের সাহায্যে ৫১ রান করেন। এটি ছিল তার টেস্ট ক্যারিয়ারের ১০ম হাফসেঞ্চুরি।

রিজওয়ানের বিদায়ের ৪ রান পর মোহাম্মদ আলীকে এলবির ফাঁদে ফেলেন মিরাজ। এটি ছিল ম্যাচে মিরাজের ৪র্থ উইকেট। পাকিস্তানের দলীয় রান তখন ১৪৬ রান। তাই বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় মাত্র ২৯ রানের।

এর আগে নিজেদের প্রথম ইনিংসে সাদমান ইসলাম মাত্র ৭ রানের জন্য দেখা পাননি তিন অঙ্কের ম্যাজিল ফিগারের। পরে মাত্র ৯ রানের জন্য ডাবল সেঞ্চুরি হাতছাড়া হওয়ার আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়েন মুশফিক। কিন্তু তার নায়কোচিত ইনিংস আক্ষেপে পোড়ায় পাকিস্তানকে। কেননা মুশফিক, সাদমান, মিরাজদের ব্যাটে প্রথম ইনিংসে অলআউট হওয়ার আগে ৫৬৫ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় বাংলাদেশ। এতে করে বাংলাদেশের লিড পায় ১১৭ রানের।

 
Electronic Paper