সিলেট মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিমেবি) ভিসি, ট্রেজারার ও রেজিস্ট্রারের পদত্যাগ দাবিতে নগরে মিছিল ও সমাবেশ করেছেন বৈষম্যবিরোধী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

রোববার (২৫ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ক্যাম্পাস থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে আন্দোলনকারীরা। মিছিলটি নগরের চৌহাট্টা পয়েন্ট প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান-ফটকের সামনে এসে প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হয়।

সমাবেশে বক্তব্য দেন, অফিসার্স এসোসিয়েশনের যুগ্ম-আহ্বায়ক মাইদুল ইসলাম চৌধুরী, কর্মচারী পরিষদের আহ্বায়ক মুহাজিরুল ইসলাম, সদস্য এনাম আহমদ প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার চোখের ডাক্তার প্রফেসর ডা. এনায়েত হোসেন ও ট্রেজারার শাহ আলম ও রেজিস্ট্রার (এডহক) আবুল কালাম মো. ফজলুর রহমান নিয়োগ পাওয়ার পর থেকেই নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি করে যাচ্ছেন। তারা আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে নানা অপকর্ম করেছেন। এজন্য তারা তাদের পদত্যাগ চান। অন্যথায় তারা আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

এদিকে, গত দুই সাপ্তাহ ধরে এক দফা দাবিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে গা-ঢাকা দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, ট্রেজারার ও রেজিস্ট্রার। তারা কেউই অফিসে আসছেন না। এমতাবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। বন্ধ রয়েছে অফিসিয়াল কার্যক্রম। অন্যদিকে আন্দোলনকারীরা বলছেন তাদের এক দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। শিক্ষার্থীদের সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশও করেন তারা।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে (এডহক) ভিত্তিতে রেজিস্ট্রার পদে আবুল কালাম মো. ফজলুর রহমান নিয়োগ পান। এরপর থেকেই নানা অনিয়ম শুরু করেন। তাঁর এসব দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে স্থানীয় পত্রিকা ও বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। তবুও ক্ষমতার দাপট ও ভিসির একচ্ছত্র মদদে তিনি স্বপদে বহাল রয়েছেন। শুধু তাই নয় আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন। তাঁর ভয়ে তটস্থ ছিলেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তিনি তাঁর পছন্দের কয়েজন কর্মকর্তাকে দিয়ে আলাদা সিন্ডিকেট গড়ে তুলেন। এই সিন্ডিকেট দিয়েই নানা অপকর্ম করাতেন তিনি। তাঁকে মদদ দিচ্ছেন ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডা. এনায়েত হোসেন।